২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০৮:০৫:২৪ পূর্বাহ্ন


রাজশাহীতে বৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে বোরো ধানসহ আমের ব্যাপক ক্ষতি
মাসুদ রানা রাব্বানী
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-০৪-২০২৩
রাজশাহীতে বৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে বোরো ধানসহ আমের ব্যাপক ক্ষতি রাজশাহীতে বৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে বোরো ধানসহ আমের ব্যাপক ক্ষতি


গত কয়েক সপ্তাহের তীব্র তাপদাহে গাছ থেকে ঝরে পড়েছে আম। উপায় না পেয়ে গাছের গোড়ায় সেচের পানি দিতে গিয়ে বাড়তি খরচ হয়েছে অনেক কৃষকের। তীব্র খরায় পানির স্তর নেমে যাওয়ায় আরও বিপাকে পড়েন আম, ধান, কলাসহ বিভিন্ন ফসল চাষিরা। তাই গত কয়েকদিন ধরে দফায় দফায় আমের রাজধানী খ্যাত রাজশাহী অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির জন্য ইসতেসকার নামাজ আদায় করেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।

অবশেষে গত বুধবার বিকেল ৫টা থেকে জেলাজুড়ে প্রবল বৃষ্টি হয়। প্রায় ১৫ মিনিট ব্যাপক বৃষ্টির সাথে বিভিন্নস্থানে হয়েছে শিলাবৃষ্টিও। এতে আম ছাড়াও ধান, কলাসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। 

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রাজিব খান বলেন, বুধবার বিকেল ৫টা থেকে ৫টা ১০ পর্যন্ত দুই মিনিট ৪১ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড় বয়ে গেছে। এরপর ৫টা ২২ পর্যন্ত ঝড়ো হাওয়া বয়ে গেছে।

এদিকে, রাজশাহী কৃষি বিভাগ বলছে, জেলার অন্তত চার উপজেলায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় অন্তত ১০ থেকে ১৫ মিনিট শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

বুধবার বিকেলে থেমে থেমে হয় এই ঝড়-বৃষ্টি হয়। এতে ভেঙে গেছে গাছ-গাছালি। ঝরে পড়েছে গাছের আম। শিলাবৃষ্টিতে বোরো ধান, ভুট্টা ও আমের ক্ষতি হয়েছে বেশি। এছাড়া পানের বরজের আংশিক ক্ষতি হয়েছে।

জেলার পবা উপজেলার নওহাটা এলাকার বাসিন্দা কামাল উদ্দীন বলেন, শিলা বৃষ্টিতে ব্যাপক আম ঝরেছে। বাগানে আমের পালা পড়ে গেছে। এছাড়া জমিতে পাকা বোরো ধান কিছুটা নষ্ট হয়েছে। 

রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাজদার হোসেন বলেন, রাজশাহীর তানোর, দুর্গাপুর, পবা ও পুঠিয়া এলাকায় শিলাবৃষ্টির কথা শুনেছি। তবে এতে ফসলের কত পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। আমাদের প্রতিনিধিরা মাঠে রিপোর্ট সংগ্রহ করছেন। তাদের দেওয়া তথ্য হাতে পেলে বিস্তারিত ক্ষতির পরিমাণ বলা যাবে। তবে শিলাবৃষ্টির কারণে এসব অঞ্চলের আমসহ সব ফসলেরই ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের চেষ্টা চলছে।