২৯ এপ্রিল ২০২৪, সোমবার, ১১:৫২:১০ পূর্বাহ্ন


১০ বছর আগে ‘গুম হওয়া’ বিএনপি নেতাকে কারাদণ্ড
অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-১১-২০২৩
১০ বছর আগে ‘গুম হওয়া’ বিএনপি নেতাকে কারাদণ্ড ১০ বছর আগে ‘গুম হওয়া’ বিএনপি নেতাকে কারাদণ্ড


১০ বছর আগে গুম হওয়া শাহীনবাগের বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনকে গাড়িতে আগুন দেওয়ার অভিযোগে আড়াই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (সিএমএম) ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদী এই রায় দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চার্জশিটে বলেন, যারা পলাতক তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালের ২৫ মে রাত সাড়ে ১১টার দিকে আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতালের সামনে একটি প্রাইভেট কারে আগুন দেওয়া হয়। আগুন দেওয়ার সময় গাড়ির ভেতরে চালক ছিলেন।

তেজগাঁও থানায় করা ওই মামলায় বিএনপি নেতা সুমনসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়। সাজেদুল ইসলাম সুমন ঢাকার শাহিনবাগে ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০১৩ সালের ডিসেম্বর থেকে তিনি নিখোঁজ। তিনি গুমের শিকার হয়েছেন বলে পরিবারের অভিযোগ।

গুম হওয়ার ৯ মাস পর, ২০১৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর সুমনের বিরুদ্ধে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। সেসময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতকে বলেন, সুমন 'পলাতক'। তাই তাকে গ্রেফতার করা যায়নি।

সুমনের বোন সানজিদা ইসলাম তুলি বলেন, আমার ভাইকে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে প্রত্যক্ষদর্শীদের সামনে থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। যদি কোনো মামলায় তিনি আসামি হতেন তাহলে কেন তারা তদন্ত করে তাকে খুঁজে বের করতে পারল না?

সানজিদা ইসলাম 'মায়ের ডাক' সংগঠনের সমন্বয়ক। গুমের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এ সংগঠন গড়ে তোলেন তিনি।

বিএনপি নেতা সুমনের পরিবার জানায়, র‌্যাবের ইউনিফর্ম পরা কয়েকজন নিজেদের র‌্যাব সদস্য পরিচয় দিয়ে সুমনকে ওইদিন তুলে নিয়ে যান।

সানজিদা বলেন, আমরা তার খোঁজে বিভিন্ন থানায় গিয়েছিলাম। কিন্তু কেউ একবারও আমাদের বলেনি যে তার বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত চলছে। যদি সত্যিই কোনো মামলা হয়ে থাকে তবে তাকে গ্রেফতার না করে তুলে নিয়ে গেল কেন? তাকেই সাজা দিয়েছেন আদালত।

এদিকে আগুন দেওয়া ওই প্রাইভেটকারের চালক জানিয়েছেন, এ ঘটনায় তিনি কোনো মামলা করেননি।

গাড়িচালক জাহাঙ্গীর বলেন, আমি কাউকে গাড়িতে আগুন দিতে দেখিনি, আমি কেন কাউকে আসামি করে মামলা করব? তিনি বলেন, আমি ম্যাজিস্ট্রেটকেও একই কথা বলেছি। আমাকে একটি সাদা কাগজে থানায় আমাকে সই করানো হয়েছে।