২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০৬:০২:০৪ অপরাহ্ন


বিমানে উঠলে কেন ফোন ফ্লাইট মোডে রাখতে বলা হয়
তাহসীনুল আমিন রাহী:
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-১২-২০২৩
বিমানে উঠলে কেন ফোন ফ্লাইট মোডে রাখতে বলা হয় বিমানে উঠলে কেন ফোন ফ্লাইট মোডে রাখতে বলা হয়


বিমানে ভ্রমণ করার সময় স্মার্টফোন বা ল্যাপটপে ‘ফ্লাইট মোড’-এ রাখতে বলা হয়। তবে এই ফ্লাইট মোড সম্পর্কে যাঁরা জানেন তাঁরা অনেক সময় এমনিতেও ফোন ফ্লাইট মোডে রেখে দেন।কিন্তু এর কার্যকারিতা আসলে কী তা অনেকেই জানেন না। জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত। ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশন (FCC)-র দাবি সেলফোন বা ওই ধরনের ডিভাইসগুলির রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি বিমানের নেভিগেশন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থায় সমস্যা তৈরি করতে পারে। এই কারণে, ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FAA) বিমান উড়ানের সময় এবং অবতরণের সময় কোনও ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে নিষেধ করে।

ফ্লাইট মোডের কাজ—

ফ্লাইট মোড সাময়িক ভাবে ফোন বা ল্যাপটপের ডেটা ট্রান্সমিটার এবং রিসিভারের সিগন্যালগুলিকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। অর্থাৎ ডিভাইসে কোনও ডেটা পাঠানো বা গ্রহণ করা যায় না। ফলে ব্যবহারকারী কোনও কল করতে, টেক্সট মেসেজ করতে বা মেল পাঠাতেও পারবেন না। এয়ারপ্লেন বা ফ্লাইট মোডে থাকা ডিভাইস ব্লুটুথ বা ওয়াই-ফাই সংযোগ করতে দেয়।

তাই বিমান যাত্রার সময় কেউ চাইলেই তাঁর কিউরেটেড প্লেলিস্ট থেকে গান শুনতে বা ডাউনলোড করা ভিডিও দেখতে পারেন। ওয়্যারলেস ব্লুটুথ সংযোগ করে নেওয়ায়ও সহজ।

প্রথমে নোটিফিকেশন বার নিচে নামিয়ে আনতে হবে। যেখানে Wi-Fi, টর্চ, হটস্পট, এয়ারপ্লেন মোড বা ফ্লাইট মোড-এর বিভিন্ন শর্টকাট দেখা যায়।

ওই নোটিফিকেশন বারেই একটি বিমানের আইকন পাওয়া যাবে, তাতে ট্যাপ করলেই ফ্লাইট মোড চালু হয়ে যাবে।

নেটওয়ার্ক ইন্ডিকেটর বন্ধ হয়ে একটি বিমানের চিহ্ন দেখা যাবে।

স্মার্টফোনের Settings অপশনে গিয়ে Connections / Wireless & Network অপশন বেছে নিতে হবে।

এরপর Airplane mode-এ ট্যাপ করলেই তা চালু হয়ে যাবে।

iOS ফোনে ফ্লাইট মোড চালু করার পদ্ধতি—

iPhone-এর স্ক্রিন নিচ থেকে উপরের দিকে সোয়াইপ করতে হবে। অন্য সব অপশনের সঙ্গে এখানেই airplane mode-ও পাওয়া যাবে। Control Cente-এর উপরের বাঁ দিকে বিমানের একটি আইকন থাকবে, সেটি থেকেই সেট করা যাবে।

Settings অপশনে গিয়ে Airplane Mode অপশনে যেতে হবে।

আরও কিছু সুবিধা—

ফ্লাইট মোডে ফোন রাখলে অবাঞ্চিত কল থেকে রেহাই পাওয়া যায়, ব্যক্তিগত সময়ে এই মোড অন রাখা যায়।

অবাঞ্ছিত নোটিফিকেশন বন্ধ থাকে।

তবে অ্যালার্ম বাজবে।

ফোন চার্জ করতে অসুবিধা হলে বা অনেক বেশি সময় নিলে ফ্লাইট মোডে রেখে চার্জ করলে তা দ্রুত হবে।

জরুরি পরিস্থিতিতে ব্যাটারি বাঁচাতে সাহায্য করে।