০৬ মে ২০২৪, সোমবার, ০৫:০৪:০১ পূর্বাহ্ন


১৩ বছরের মেয়েকে ধর্ষণে আদালতের ভাষ্য, লালসা নয়, ভালবাসা!
সুমাইয়া তাবাস্সুম:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-০১-২০২৪
১৩ বছরের মেয়েকে ধর্ষণে আদালতের ভাষ্য, লালসা নয়, ভালবাসা! ১৩ বছরের মেয়েকে ধর্ষণে আদালতের ভাষ্য, লালসা নয়, ভালবাসা!


১৩ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণ করেছিল যুবক। তাকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। কিন্তু বোম্বে হাইকোর্ট  অভিযুক্তকে জামিনে মুক্তি দিল। আদালত জানাল, নিগৃহীতা এবং অভিযুক্তের মধ্যে প্রেমের সো সম্পর্ক ছিল। দুজনের সম্মতিতেই তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে। অভিযুক্ত যা করেছে, তা লালসা থেকে নয়, বরং ভালবেসেই করেছে। 

নীতিন ধবেরাও নামে ২৬ বছরের এক যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন নির্যাতিতার বাবা। তিনি জানান, যে তাঁর ১৩ বছর বয়সি মেয়ে ২০২০ সালের ২৩ অগস্ট বই আনতে যাবে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। কিন্তু সে আর ফিরে আসেনি। এরপর তিনি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পুলিশ এরপর তল্লাশি চালিয়ে কিশোরীকে খুঁজে বের করে। নাবালিকা পুলিশকে জানায়, সে প্রেমিক নীতিনের সঙ্গে ভিন রাজ্যে পালিয়ে গিয়েছিল। 

সে আরও জানায়, নীতিন তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এরপরেই বাড়ি থেকে টাকা এবং গয়না নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিল সে। তারা ভিন রাজ্যে চলে গিয়েছিল। সেখানে একসঙ্গে থাকছিল তারা, শারীরিক সম্পর্কও হয় দুজনের মধ্যে। এরপরেই নাবালিকার বাবা নীতিনের বিরুদ্ধে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা রুজু করেন। ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং পকসো আইনের ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ, তার ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। 

কিন্তু বোম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চের বিচারপতি উর্মিলা জোশি-ফালকে অভিযুক্তের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। তিনি জানান, অভিযুক্ত এবং নিগৃহীতা দুজনেই জানিয়েছে, তারা পরস্পরকে ভালবাসত, এবং অল্প বয়সের আবেগ থেকেই এমনা কাণ্ড ঘটিয়েছিল তারা। যৌন সম্পর্কে সম্মতি দেওয়ার জন্য ১৩ বছর বয়স আইনত গ্রহণযোগ্য নয়, সেকথা মেনে নিয়েও আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, "নাবালিকার সঙ্গে যুবকের শারীরিক সম্পর্কের বিষয়টি দুজনের মানসিক আকর্ষণ থেকেই রয়েছে, এমন নয় যে অভিযুক্তের লালসার শিকার হয়েছে কিশোরী।" 

বিচারপতি আরও জানিয়েছেন,নাবালিকার বয়ান থেকে স্পষ্ট, সে স্বেচ্ছায় প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছিল, এবং যুবক যে তাকে জোর করেছিল, এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি। এরপরেই অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারপতি।