০৬ মে ২০২৪, সোমবার, ০৩:৩৩:১০ অপরাহ্ন


কাকিমার দুই প্রেম! কাঁটা সরাতে তিনজনকে খুন !
সুমাইয়া তাবাস্সুম:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৪-০১-২০২৪
কাকিমার দুই প্রেম! কাঁটা সরাতে তিনজনকে খুন ! কাকিমার দুই প্রেম! কাঁটা সরাতে তিনজনকে খুন !


কাকিমার পরকিয়া। পথের কাটা সরাতে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে অন্তত তিনজনকে খুন করেছে। গত ১০ নভেম্বরের পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসার ঘটনা। তবে তদন্তে নেমে পুলিশ একাধিক তথ্য হাতে পেয়েছে। সিমরন বিশ্বকর্মা, তার দিদিমা সীতা দেবী ও মামার ছেলে সোনু বিশ্বকর্মাকে খুন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। খুনের পরে তদন্তে নামে পুলিশ। পুলিশ সিমরনের কাকিমা রিঙ্কি বিশ্বকর্মাকে গ্রেফতার করে।এরপর আরও দুজন স্থানীয় যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করে।

তদন্তে নেমে জানতে পারে সিমরনের কাকিমার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। আর পরকিয়া সেই সম্পর্কের কথা জেনে গিয়েছিল সিমরন। এমনকী কিছু ছবিও সামনে চলে আসে। এরপরই সিমরনের উপর রেগে গিয়েছিলেন তার কাকিমা। সিমরনকে খুন করার চক্রান্ত করা হয়। সেই মতো ছক সাজানো হয়েছিল।

তদন্তে নেমে পুলিশ কাকিমা রিঙ্কি বিশ্বকর্মাকে গ্রেফতার করে। তার প্রেমিক প্রসেনজিৎ বিশ্বকর্মাকেও গ্রেফতার করা হয়। তারাই সিমরনকে খুনের ছক কষেছিল বলে অভিযোগ। তবে শুধু প্রসেনজিতের সঙ্গে নয়, রিঙ্কির আরও প্রেমিক ছিল। তার মধ্য়ে অন্যতম মহম্মদ জুনেদ ওরফে পাপ্পু। সে এই খুনে সাহায্য করেছিল বলে অভিযোগ।

কিন্তু তদন্তে নেমে পুলিশ এক এক করে গোটা ঘটনা জানতে পারে। সেই মতো করে গ্রেফতার করা হয়।

তবে সেদিনের ঘটনার পরে কার্যত পরতে পরতে রহস্য দানা বেঁধেছিল। কাঁকসার বাসিন্দা ধনঞ্জয় বিশ্বকর্মা স্ত্রী এবং মেয়ে সিমরানকে নিয়ে থাকতেন। পেশায় তিনি কর্মকার। কয়েকদিন আগে সস্ত্রীক ধনঞ্জয় অসমে যান আত্মীয়ের বাড়িতে। মেয়ে সিমরান ছিলেন নিজের বাড়িতে। তখন বাড়িতে থাকেন ঠাকুমা সীতাদেবী এবং তরুণ সোনু বিশ্বকর্মা, তরুণী সিমরান।এরপর দেখা যায় বাড়ির উঠোনে পড়ে রয়েছে তাঁদের রক্তাক্ত দেহ। এদের মধ্যে দুজনের গলায় দড়ির ফাঁস লাগানো ছিল বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।

সেদিন দেখা গিয়েছিল পর পর তিনটি দেহ পড়ে রয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃদ্ধার নাম সীতা দেবী (‌৭০)‌। বাকি দুই তরুণ–তরুণীর নাম সিমরন বিশ্বকর্মা (‌২৩)‌ ও সোনু বিশ্বর্কমা (‌২২)‌। বাড়ির বাইরে সোনুর রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে বাড়ির ভিতরে গিয়ে দেখা গিয়েছিল একটি ঘরে সীতা দেবীও রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। পাশের ঘরে পড়ে রয়েছে সিমরনের দেহ। তবে এতদিনে সেই খুনের ঘটনার পেছনে কাকিমার হাত ছিল বলে তদন্তে অনেকটাই পরিস্কার করেছে।