০৬ মে ২০২৪, সোমবার, ০৯:৩৯:০১ পূর্বাহ্ন


জেলে পরিচয়, বন্ধুত্ব! ছাড়া পেয়ে বন্ধুর সর্বনাশ
সুমাইয়া তাবাস্সুম:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-০১-২০২৪
জেলে পরিচয়, বন্ধুত্ব! ছাড়া পেয়ে বন্ধুর সর্বনাশ জেলে পরিচয়, বন্ধুত্ব! ছাড়া পেয়ে বন্ধুর সর্বনাশ


জেলে থাকার সময়ে পরিচয় তারপরে বন্ধুত্ব। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর বন্ধুর সঙ্গে দেখা নেই দীর্ঘদিন। তাই দুইবছর পর বন্ধুর খোঁজে বালুরঘাটেএসেছিলঅপর বন্ধু। বন্ধুর বাড়িতে ভুড়িভোজের পর বন্ধুর দাদার ঘর থেকে সোনার গয়না এবং নগদ টাকা নিয়ে চম্পট দিল ‘বিশ্বাসঘাতক’ বন্ধু। এখন নানা জায়গায় খোঁজ করেও বন্ধুর নাগাল মিলছে না। মালদা জেলার বাসিন্দা সেই বন্ধুর খোঁজে এবার পাল্টা খোঁজ শুরু করেছে বালুরঘাটের বন্ধু।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বালুরঘাটের রাজুয়া এলাকার এক যুবক স্থানীয় এলাকার একটি পুকুর নিয়ে বিবাদের জন্য গ্রেফতার হয়েছিল। ২০ দিনের জন্য বালুরঘাট কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে ছিল। সেই সময়েই মালদার একলাখীর এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয়। ওই যুবক আবার প্রতারণা মামলায় মালদা সংশোধনাগারে ছিল। সেখান থেকেই বালুরঘাট সংশোধনাগারেই স্থানান্তরিত হয়েছিল। বালুরঘাটেই সংশোধনাগারের ক্যান্টিনে বসেই প্রথম পরিচয় হয়েছিল। ২০ দিন একসঙ্গেই জেলে বসে সময় কাটান দুই বন্ধু।

এরপর ২০ দিন পর বালুরঘাটের বন্ধু ছাড়া পেয়ে যান। কিন্তু তারপর থেকে জেলের সেই বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়নি।এদিন হটাৎ সেই বন্ধু রাজুয়ায় ওই যুবকের বাড়িতে আসে। কিন্তু বন্ধুর দেখা না পেয়ে যুবকের ফোন নম্বর জোগারকরে দেখা করে। রাত হয়ে যাওয়ায় ওই যুবক বালুরঘাটের চকরামে নিজের দাদার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানেই রাতে ভাল মন্দ খাওয়ায়। পরের দিন রবিবারও মাছ মাংস সহ ভুড়িভোজের এলাহি আয়োজন করেন।

কিন্তু রবিবার বিকেলে হটাৎ বাড়ির লোকজন কিছুক্ষণের জন্য বাড়ি ছাড়া হলেই আলমারি থেকে নগদ ১৬ হাজার টাকা ও ২ ভরিসোনার গয়না নিয়ে পালায়।ঘটনায় ভেঙে পড়েছে ওই পরিবার। বাড়িতে ডেকে মাছ-মাংস ও ভাল মন্দ খাওয়ানোর পরেও যে এমন কান্ড ঘটাবে, তাটের পাননি ওই যুবকের দাদা ও বৌদি। ঘটনায় বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত করছে বালুরঘাট থানার পুলিশ।