০৩ মে ২০২৪, শুক্রবার, ০৮:৩৮:৩১ অপরাহ্ন


চোখ উপড়ানো ছাত্রীর দেহ মিলল সর্ষের ক্ষেতে
সুমাইয়া তাবাস্সুম:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-০১-২০২৪
চোখ উপড়ানো ছাত্রীর দেহ মিলল সর্ষের ক্ষেতে চোখ উপড়ানো ছাত্রীর দেহ মিলল সর্ষের ক্ষেতে


দু’দিন আগে রাত ৮টায়  বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল কিশোরী। আর ফেরেনি। আত্মীয় এবং বন্ধুদের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। যে ঘরে ওই কিশোরী থাকত, সেখানে একটি চিরকুট মেলে। তাতে লেখা, ‘চিন্তা কোরো না’।

শনিবার দুপুরে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ায় বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি সর্ষের ক্ষেতে নিখোঁজ ওই কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। 

পরিবারের অভিযোগ, তাদের মেয়েকে বাড়ি থেকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছে। ঘটনায় এক অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।

অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রীর পরিবারের লোকজন জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিল ছাত্রী। আত্মীয় বা বন্ধু কারও বাড়িতে খোঁজ না পাওয়া যাওয়ায় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে তার পরিবার। শনিবার দুপুরে হরিহরপাড়া থানা থেকে ফোন আসে ওই কিশোরীর বাড়িতে। জানানো হয়, ওই কিশোরীর মরদেহ পাওয়া গেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, লোকালয় থেকে কিছুটা দূরে একটি সর্ষের ক্ষেতে এক কিশোরী গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করা হয়। তার দেহে একাধিক ক্ষতচিহ্ন রয়েছে বলেই জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

ওই কিশোরীর দুটো চোখই উপড়ে নেওয়া হয়েছে। তার সারা শরীরে অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন। গলায় ফাঁসের দাগ। ওই অবস্থাতেই নাবালিকার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে। 

পরিবারের দাবি, স্থানীয় এক তরুণ বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই কিশোরীকে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়েছিল। পুলিশের কাছে ওই তরুণের নামও জানিয়েছেন মৃত ছাত্রির পরিবারের সদস্যরা। এমনকি, বাড়ি থেকে যাওয়ার সময় মেয়েটি ১০ হাজার টাকা নিয়ে যায় বলে দাবি পরিবারের।

পাশাপাশি, বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আগে তার বাবার মোবাইল একটি ফোন করে কিশোরী। সেটাও ওই অভিযুক্তকেই বলে দাবি করা হয়েছে। মৃত ছাত্রির মা বলেন, ‘‘আমার বাচ্চা মেয়েটাকে ভুল বুঝিয়ে নগদ ১০ হাজার টাকা সমেত বাড়ি থেকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে যায়। টাকাটা হাতিয়ে মেয়েকে খুন করে মাঠের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। আমি ওই ছেলের ফাঁসি চাই।’’

এই ঘটনা নিয়ে মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার সুপার সূর্যপ্রতাপ যাদব বলেন, ‘‘উদ্ধার হওয়া মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে এর থেকে বেশি কিছু এখন বলা যাবে না।’’