২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ১২:৩৪:২৩ অপরাহ্ন


জান্নাতিদের পাঁচ গুণ
ধর্ম ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-০৩-২০২৪
জান্নাতিদের পাঁচ গুণ প্রতিকী ছবি


২৫ মার্চ ১৪ রমজান দিবাগত রাতে ইশার পর ১৫তম দিনের তারাবিহ নামাজে আমাদের দেশের মসজিদগুলোতে কোরআনের ১৮ নং পারা তিলাওয়াত করা হবে। এ পারায় রয়েছে সুরা মুমিনুন, সুরা নূর ও সুরা ফুরকানের কিছু অংশ।

পবিত্র কোরআনের এ অংশে আমাদের দৈনন্দিন জীবন সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ যে শিক্ষা ও দিক-নির্দেশনা রয়েছে:

১. সুরা মুমিনুনের শুরুতেই আল্লাহ তার জান্নাতি বান্দাদের গুণাবলি উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, অবশ্যই মুমিনগণ সফল হয়েছে, যারা নিজদের নামাজে বিনয়াবনত। যারা অনর্থক কথা ও কাজ এড়িয়ে চলে। যারা জাকাত দানে সক্রিয়। যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে নিজেদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসী ব্যতীত, এ ক্ষেত্রে তারা নিন্দা থেকে মুক্ত। এদের অতিরিক্ত যারা কামনা করে তারাই সীমালঙ্ঘনকারী। আর যারা নিজেদের আমানাত ও ওয়াদা পূর্ণ করে। যারা নিজেদের নামাজের ব্যাপারে যত্নবান। তারাই হবে অধিকারী। অধিকারী হবে ফিরদাউসের, যাতে তারা বসবাস করবে চিরকাল। (সুরা মুমিনুন: ১-১১)

এ আয়াতগুলোতে আল্লাহ তাআলা মুমিনদের যে পাঁচটি গুণের কথা বলেছেন,

ক. তারা নিয়মিত উত্তমরূপে মনোযোগের সাথে নামাজ আদায় করে।

খ. তারা অনর্থক কথা ও কাজ থেকে বিরত থাকে। অনর্থক কথা বলে না, অনর্থক কাজেও জড়িত হয় না।

গ. তারা প্রতি বছর তার সম্পদের জাকাত আদায় করে।

ঘ. তারা নিজেদের চরিত্র হেফাজত করে, কোনো রকম অবৈধ সম্পর্কে জড়িত হয় না।

ঙ. তারা নিজেদের ওয়াদা পূর্ণ করে ও আমানতের হেফাজত করে।

২. আল্লাহর কারো ওপর তার সাধ্যের অতিরিক্তি দায়িত্ব চাপিয়ে দেন না। আল্লাহর বিধান পালনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা আমাদের দায়িত্ব। সাধ্যের বাইরে চলে গেলে আল্লাহ ক্ষমা করবেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, আর আমি কাউকে তার সাধ্যের বাইরে কোনো দায়িত্ব দেই না। আমার নিকট আছে এমন কিতাব যা সত্য কথা বলে এবং তারা অত্যাচারিত হবে না। (সুরা মুমিনুন: ৬২)

৩. মুমিন নারী ও পুরুষদের ওপর পর্দা করা ফরজ। কুদৃষ্টি থেকে নিজেদের চোখ হেফাজত করা ও গুনাহ থেকে নিজেদের চরিত্র হেফাজত করা তাদের কর্তব্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, মুমিন পুরুষদের বল, তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করবে। এটাই তাদের জন্য অধিক পবিত্র। নিশ্চয় তারা যা করে সে সম্পর্কে আল্লাহ সম্যক অবহিত। আর মুমিন নারীদের বল, যেন তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করে। আর যা সাধারণত প্রকাশ পায় তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য তারা প্রকাশ করবে না। তারা যেন তাদের ওড়না দিয়ে বক্ষদেশকে আবৃত করে রাখে। আর তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, নিজদের ছেলে, স্বামীর ছেলে, ভাই, ভাইয়ের ছেলে, বোনের ছেলে, আপন নারীগণ, তাদের ডান হাত যার মালিক হয়েছে, অধীনস্থ যৌনকামনামুক্ত পুরুষ অথবা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ বালক ছাড়া কারো কাছে নিজদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। আর তারা যেন নিজদের গোপন সৌন্দর্য প্রকাশ করার জন্য সজোরে পদচারণা না করে। হে মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। (সুরা নূর: ৩০, ৩১)