২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ১২:৪৮:০৯ অপরাহ্ন


বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে ৮ বছরের শিশুকে হত্যা করলো মা !
সুমাইয়া তাবাস্সুম:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-০২-২০২৪
বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে ৮ বছরের শিশুকে হত্যা করলো মা ! বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে ৮ বছরের শিশুকে হত্যা করলো মা !


মা ও মায়ের বান্ধবী মিলে ৮ বছরের এক শিশুকে হথ্রার করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারতের কোন্ননগরের কানাইপুরের আদর্শনগরের একটি বাড়িতে ইট গণেশ মূর্তি দিয়ে আঘাত করা-সহ ও  ছুরি দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় শিশুকে।   তদন্তে নেমে ওই শিশুর মা ও মায়ের বান্ধবীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের ধারনা, সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরেই এই হত্যাকান্ড। 

গ্রেফতার শিশুর মা শান্তা শর্মা ও তার বান্ধবী ইফফাত পারভিন। বান্ধবীকে ওয়াটগঞ্জ থানার খিদিরপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। শ্রীরামপুর উত্তরপাড়া থানার ডিসিপি অর্ণব বিশ্বাস সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দুজনে গভীর বন্ধুত্ব ছিল। বিয়ের আগে থেকে ছিল সেই বন্ধুত্ব। শান্তার বিয়ে হয় ২০১২ সালে। পারভিনের বিয়ে হয় ২০১৮ সালে। তবে মাস খানেকের মধ্যে স্বামীর ঘর ছেড়ে চলে আসে সে।

দুজনে দুজনের বাড়ি যাতায়াত করত সেটা তাদের পরিবার জানত। গভীর রাত পর্যন্ত ফোনে গল্প করত। এমনকী ঘটনার পরদিন পারভিন শান্তার বাড়ি আসে সমবেদনা জানাতে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ শুক্রবার সন্ধ্যায় খুন করা হয় শ্রেয়াংশকে। তারপর দিন শিশুর মাকে দেখা যায় তাদের পোষ্য কুকুর স্যাডোকে বিস্কুট খেতে দিতে।স্যাডো যদিও সেই বিস্কুট খায়নি।

সূত্রের খবর, দুজনের সম্পর্কে ছেলে বাধা হচ্ছিল। পারভিন বিয়ের পর সংসার করেনি। শান্তা করছিল। তার সন্তানও ছিল। পারভিন শান্তার বাড়িতে এসে থাকত মাঝে মধ্যে। স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো ছিল না শান্তার। ডিসিপি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে যে সব তথ্য প্রমাণ মিলেছে তার ভিত্তিতে।

ফরেনসিক তদন্তের রিপোর্ট ও ফিঙ্গার প্রিন্ট রিপোর্ট, এলাকার সিসি টিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের জেরা করে নিশ্চিত হওয়া যায় খুনের পিছনে শিশুর মা ও তারা বান্ধবী আছে। তার ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় দুজনকে। কাল দুজনকেই শ্রীরামপুর আদালতে পেশ করা হবে। রিমান্ডে নিয়ে তদন্ত এগোবে। শিশুর বাবা পঙ্কজ শর্মা বলেন, তার স্ত্রী এই ঘটনায় যু্ক্ত বিশ্বাস হচ্ছে না। তবে তিনি আগেই জানিয়েছিলেন পরিচিত কেউ খুন করেছে। শিশুর মেসোমশাই গৌতম অধিকারী বলেন, দুজনের সম্পর্ক ছিল জানতাম না। অভিযুক্তদের কঠিন শাস্তি চাই।